বিশ্বব্যাপী যৌন নিপীড়ন ও পাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করা সাহসী নারী ভার্জিনিয়া জিউফ্রে আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার নিরগাব্বির নিজ খামারে ৪১ বছর বয়সে তার মৃত্যু হয়।
পরিবারের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, আজীবন যৌন নিপীড়নের যন্ত্রণা তিনি আর সহ্য করতে পারেননি। পরিবার জানায়, “ভার্জিনিয়া ছিলেন নিপীড়িতদের জন্য এক আলোকবর্তিকা, যিনি নির্ভীকভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে গেছেন।”
জিউফ্রে বিশ্বজুড়ে কুখ্যাত যৌন পাচারকারী জেফ্রি এপস্টেইন ও তার সহযোগী ঘিসলাইন ম্যাক্সওয়েলের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছিলেন। তার দাবি, ১৭ বছর বয়সে তাকে ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য ডিউক অব ইয়র্ক প্রিন্স অ্যান্ড্রুর কাছে তুলে দেওয়া হয়েছিল। যদিও প্রিন্স অ্যান্ড্রু অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন এবং ২০২২ সালে আদালতের বাইরে জিউফ্রের সঙ্গে আর্থিক সমঝোতায় পৌঁছান।
পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে নিরগাব্বির একটি বাড়ি থেকে ফোন পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৪১ বছর বয়সী এক নারীকে অচেতন অবস্থায় পান এবং পরে মৃত ঘোষণা করেন। তদন্তকারীরা জানান, প্রাথমিকভাবে মৃত্যুকে সন্দেহজনক মনে করা হচ্ছে না।
জিউফ্রে সম্প্রতি স্বামী রবার্ট ও সন্তানদের সঙ্গে পার্থ শহরতলিতে বসবাস করছিলেন। তবে কয়েক মাস আগেই ২২ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি ঘটে তাদের। মৃত্যুর মাত্র তিন সপ্তাহ আগে ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টে জিউফ্রে জানিয়েছিলেন, তিনি একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন।
কিশোরী বয়সে এপস্টেইনের যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়া জিউফ্রের সাহসী উচ্চারণ ও আইনি লড়াই বিশ্বব্যাপী আলোড়ন তুলেছিল। তার হঠাৎ মৃত্যুতে অধিকারকর্মীসহ সাধারণ মানুষ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।